অপচয় বন্ধ হলে চাল আমদানি প্রয়োজন হবে না : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে বছরে চার কোটি মেট্রিক টন ধান ক্রাসিং হয়। চার থেকে পাঁচবার ক্রাসিং করে চাল চকচকে করা হয়। মিলারদের তথ্যমতে চার শতাংশ হাওয়া (অপচয়) হয়ে যায়। এই অপচয় বন্ধ করতে আইন পাস করা হয়েছে। অপচয় বন্ধ হলে বিদেশ থেকে চাল আমদানি প্রয়োজন হবে না।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তেজগাঁও সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো (সিএসডি) প্রাঙ্গণে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক প্রশাসন মো. জামাল হোসেন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ঢাকা মো. ফারুখ হোসেন পাটওয়ারী,তেজগাঁও সিএসডির ব্যবস্থাপক চন্দ্র শেখর মল্লিক ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি দুদু মিয়া।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা আভাস দিয়েছিল, ‘সারাবিশ্বে দুর্ভিক্ষ হবে, বাংলাদেশে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা যাবে’- দেশে একটি দলও তাতে সুর মিলিয়ে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে করোনাকালে কেউ না খেয়ে মারা যায়নি। যারা অবৈধ মজুত করে তারা দেশের শত্রু, তাদের শক্তভাবে দমন করতে হবে। অবৈধ মজুতদারদের চিহ্নিত করতে সবার সহায়তা চাই। সর্বকালের সর্বোচ্চ মজুত এখন গুদামে আছে। খাদ্যের কোনো সংকট নেই। নির্বাচনের আগে চাল ও গম নিয়ে কেউ যেন খেলতে না পারে তার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা রাখতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলে শ্রমিকদের কল্যাণেও ধারাবাহিকতা থাকবে।